ছাত্রছাত্রীদের জীবনে দ্বিতীয় পাবলিক পরীক্ষা জেএসসি। এই পরীক্ষার গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে জেএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষাবর্ষ এক বছর হলেও নভেম্বরেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলে পড়াশোনা থেকে হারিয়ে যায় অনেক দিন। প্রস্তুতি নিতেও হিমশিম খেতে হয়।
বিগত এসএসসি পরীক্ষায় ঢালাওভাবে এমসিকিউ প্রশ্ন আউট হয় যদিও এর সুফল সবাই পায়নি। বিভিন্ন বিশ্লেষণ করে নীতিনির্ধারকগণ একমত হয়েছেন যে জেএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে না। এই সিদ্ধান্ত ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে। মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা সমাধন নয়।
এমনিতেই সাতটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এমসিকিউ তুলে দেওয়া হলে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় আরো চাপে পড়বে। কেননা সৃজনশীল প্রশ্ন আরো বেড়ে যেতে পারে অথবা কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকতে পারে। এটা যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
এইচএসসি পরীক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ ও তদারকির মাধ্যমে কোন প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এটা সরকারের একটি বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া গেছে। একটু মনোযোগী হলেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়। তাহলে কেন মাঝে মাঝে গাফিলতি হয় বা হচ্ছে?
এবার আসি আসল কথায়। জেএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ বাদ দেওয়ার কথা বলা হলেও পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে জেএসএসি পরীক্ষার্থীরা রয়েছে বিপাকে, অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায়, শিক্ষকগণ উভয় সংকটে। যেহেতু জেএসসি পরীক্ষা নভেম্বরে মাসে, সেহেতু নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি প্রকাশ করা উচিত।
এমসিকিউ থাকলে স্পষ্ট করে বলা হোক। আর না থাকলে অতি দ্রুত পরিপত্র প্রকাশ করা হোক। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখক : সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়]