জেকেজির ডা. সাবরিনার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তাকে দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আইনজীবীরা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে ডা. সাবরিনার সাত বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে।

শুরু থেকে সাবরিনাকে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান বলা হলেও তদন্ত সংস্থা বলছে, প্রতিষ্ঠানটির আহ্বায়ক হিসেবেই জাল-জালিয়াতিতে তার সম্পৃক্ততার তথ্য মিলেছে। মামলার অন্য আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও প্রতারণার নেপথ্য নাম হিসেবে উচ্চারিত হয়েছে ডা. সাবরিনার কথা।

ডিবির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডা. সাবরিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেয়া হবে। এ মামলায় যে শাস্তি হয়,সাবরিনা ও তার সহযোগীদের জন্য তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে বলে জানাচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় পেনাল কোডের ১৭০/২৬৯/৪২০/৪০৬/৪৬৬/৪৭১/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একাধিক ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।

সেজন্য আইনজীবীরা বলছেন,অভিযোগ প্রমাণ হলে ডা. সাবরিনার সাত বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানোর চেষ্টার কথাই বলছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের অতিরিক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, ডা. সাবরিনা একজন প্রতারক হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি প্রতারণা করে অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছেন। মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলেছেন। তার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের জেল। তার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয় আমরা সেদিকে নজর রাখবো।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামলা তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান নয়, আহ্বায়ক হিসেবে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আশা করছি এ মামলায় আমরা দ্রুত চার্জশিট দিতে পারব। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে তার পদে থাকার কোনো ডকুমেন্ট আমরা পাইনি। তবে আহ্বায়ক হিসেবে সম্পৃক্ত থাকার কাগজ পাওয়া গেছে।

মামলার বাদী কামাল হোসেন বলেন, আমরা জেকেজি হেলথকেয়ারে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করে প্রতারিত হয়েছি। তাই আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছি। দোষীরা শাস্তি পাক এটা আমি চাই। ডা. সাবরিনাসহ মামলার অপর আসামিরা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। তাদের বিচার হওয়া উচিত।

গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৩ জুলাই তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ১৭ জুলাই আরও দুদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। দুই দফা রিমান্ড শেষে ২০ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048601627349854