জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ এসেছে রাজধানীর মিরপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমীর প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। দুইজন সিনিয়র শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগটি এসেছে মিরপুর থানা শিক্ষা অফিসে।
অভিযোগে বলা হয়, সাবেক আগারগাঁও তালতলা সরকারি কলোনী উচ্চ বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিনের জ্যেষ্ঠ দুইজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। জানা গেছে, বাংলা বিষয়ের প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন সাবেক আগারগাঁও তালতলা সরকারি কলোনী উচ্চ বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজে যোগদান করে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ১ মে এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু, তিনি পদোন্নতি পাননি।
অপরদিকে রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক মাহবুব ফেরদৌস ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১ এপ্রিল এমপিওভুক্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পৌরনীতি বিষয়ের অপর এক শিক্ষক সালমা বানু ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরজানা ইয়াসমিন একই দিনে অর্থাৎ ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ১ মে এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু সালমা বানু ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। এ দুই সিনিয়র শিক্ষক কর্মরত থাকা সত্ত্বেও প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন বলে বলা হয়েছে অভিযোগে।
২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব উপাধ্যক্ষ পালন করবেন। উপাধ্যক্ষ না থাকলে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। জনবল কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা তাদের প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে নির্ধারণ করা হবে। অভিযোগে আরও বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারজানা ইয়াসমিন সরাসরি অধ্যক্ষ লিখছেন। এছাড়া স্বেচ্ছাচারিভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারজানা ইয়াসমিন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, গভর্নিং বডি আমাকে যোগ্য মনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা পালন করছি।