ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের কপি দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তিকৃত ১০ ছাত্রের নাম জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে নেওয়া এডমিশন পরীক্ষার মেধা তালিকায় পাওয়া যায়নি। ভর্তিকৃত ছাত্রদের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির দিবা শাখায় ২ জন, প্রভাতি শাখায় ৪ জন, ৭ম শ্রেণির দিবা শাখায় ১ জন, একই শ্রেণির প্রভাতি শাখায় ১ জন, চতুর্থ শ্রেণির দিবা শাখায় ২ জন।
জানা গেছে, ওই ১০ ছাত্রের কেউ সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সন্তান নয়। তারা শহরের ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের সন্তান। আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রধান শিক্ষক তাদের ভর্তি করেছেন। এমনও অভিযোগ রয়েছে ছাত্র ভর্তি করতে দুই থেকে ৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমার একক সিদ্ধান্তে এই ভর্তি হয়নি। এছাড়া টাকার বিনিময়ে ভর্তি করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আমি এই জেলারই সন্তান। শৈলকুপার গাড়াগঞ্জে আমার বাড়ি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমার বন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমার খালু।