দৈনিক শিক্ষাডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কাঠাঁলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করেছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আরিফ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তিনি বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে যান। ভবনের বিভিন্ন কক্ষের ভয়াবহতা দেখে তাৎক্ষণিক এ ভবনে পাঠদান বন্ধ ও ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
গত সপ্তাহে দৈনিক শিক্ষাডটকমে "সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে উৎকন্ঠায় কলাপাড়ার অভিভাবকরা" শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী জানান, বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত স্লিপ ও রুটিন মেইনটেনেন্সের ৯০ হাজার টাকা দিয়ে আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশে একটি তিন কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ঘর নির্মাণ করতে বলা হয়েছে শিক্ষা অফিস থেকে। শিক্ষার পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় এজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আরিফ জানান, সরেজমিনে বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় বর্তমানে পাশ্ববর্তী কাঠাঁলপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জরুরী ভিত্তিতে একটি টিনসেড ঘর নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। এজন্য স্লিপ ও জরুরি মেইনটেনেন্সের ৯০ হাজার টাকা খরচ করতে বলা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে যাতে বিদ্যালয়ের ভবনটি মেরামত করা হয় এজন্য এক নং তালিকায় রেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান করা হবে।
গত ১০ জুলাই রাতে টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে কাঠাঁলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদসহ ওয়ালের পলেস্তারা ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এ ভবনে পাঠদান বন্ধ করে দেয় শিক্ষকরা। ভবনের ভগ্নদশা দেখে সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতংক ছড়ালেও শিক্ষা অফিস থেকে কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যায়নি।