চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠকে ধর্ষককে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সঠিক বিচার না পেয়ে সেই ক্ষোভে মেয়েটি বিষপানে আত্মহত্যা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌরসভার দ্বারিয়াপুর মহাজনপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরী আসিফা খাতুন ওই মহল্লার সাদিকুল ইসলামের মেয়ে।
কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে একই এলাকার তহিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল বাসির চাচাতো বোন আসিফার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে তার মা ঘরে এসে হাতেনাতে বাসিরকে ধরে ফেলে। তাকে ঘরে আটকে রাখলে তার বাবা তহিদুল ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে দু'দিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মতিউর রহমান মটন মিয়ার উদ্যোগে তার নিজ বাসায় উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন। সালিশে ধর্ষক বাসিরকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা দিয়ে ধর্ষণের সমাধান মানতে না পেরে সালিশেই মেয়েটি সাফ জানিয়ে দেয়, এ বিচার সে মানে না। সবার উপস্থিতিতে আসিফা বলে, 'আমাকে বাসির ধর্ষণ করেছে। আমি তাকেই বিয়ে করব, টাকা নেব না।'
কিশোরীর এক ভাবি জানান, আসিফা ধর্ষণের পর থেকেই বলে আসছে, সে বাসিরকে বিয়ে করতে না পেলে আত্মহত্যা করবে। আসিফা সেটাই করে দেখাল। তিনি বলেন, ৭২ হাজার টাকায় সমাধান হলেও কাউন্সিলর মতিউর রহমান মটন মিয়া তাদের পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মতিউর রহমান মটন মিয়া কোনো কথা বলতে রাজি হননি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।