সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দিয়ে কষ্টে আছেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: সহিদুর রহমান। গত ১২ আগস্ট তিনিসহ মোট ৮টি এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজের ৮ উপাধ্যক্ষ ১৪ লাখ টাকা কোষাগারে ফেরত দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর পূর্বপদের উত্তোলিত এমপিওর টাকা ফেরত দিয়ে বাদবাকী ৭ জন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে লৌহজং কলেজের উপাধ্যক্ষ সহিদুর রহমানের। বাকী ৭টি সরকারিকরণের আওতায় না পড়লেও লৌহজং কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি হয় ৮ আগস্ট।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের এমপিও কোড পরিবর্তন করায় ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় তাদেরকে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়। টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে তাদেরকে ডিগ্রি স্তর পাওয়ার তারিখ থেকে উপাধ্যক্ষ পদে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত দেয় এমপিও কমিটি। কিন্তু বিধান অনুযায়ী সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির পর সব ধরণের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি বন্ধ। ৮ আগস্ট ২৭১টি কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এই ফাঁদে পড়তে পারেন উপাধ্যক্ষ সহিদুর।
জানা যায়, ৭ উপাধ্যক্ষকে ৫ কোডে এমপিওভুক্ত করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, মন্ত্রণালয় চাইলে মানবিক দিক বিবেচনায় সহিদুরের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
সাত উপাধ্যক্ষ হলেন: রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: নছিমুল গনি, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাথরাজ মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মোহা: আমিনুল ইসলাম, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃহ কালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: মুনীর চৌধুরী, খুলনার রুপসা উপজেলার আলাইপুর কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: আবু সাঈদ খান, কুমিল্লার হাসান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: নূরুল্লা মজুমদার, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকুড়ি ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, চাপাই নবাবগঞ্জের নাচোল ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুল কাদের ।