টাকা বানানো একটা রোগ : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টাকা বানানো একটা রোগ। এটা একটা অসুস্থতার কারণ। একবার যে টাকা বানাতে থাকে তার শুধু টাকা বানাতে ইচ্ছে করে। ওই টাকার ফলে ছেলেমেয়ে বিপথে যাবে। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নষ্ট হবে। সেটা তার দেখারও সময় নেই। শুধু টাকার পেছনে ছুটছে তো ছুটছেই। এভাবে নিজের পরিবার ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম সেই চিন্তা করতে হবে। জনগণকে কী দিতে পারলাম সেই চিন্তা করতে হবে। জনগণের কল্যাণ কীসে হবে সেই চিন্তা করতে হবে। আজ আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি, এটা অব্যাহত থাকবে। কারণ জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ আমরা বিফলে যেতে দেব না। এই টাকা জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে। কারও ভোগবিলাসের জন্য নয়, কারও ভোগবিলাসের জন্য এই টাকা ব্যয় হবে না। কেউ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করবেন আর বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন আর যে সৎভাবে জীবনযাপন করবে সে সাদাসিধে জীবনযাপন করে কষ্ট পাবে এটা হতে পারে না। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিরায়ানি-পোলাও খাওয়া থেকে এবং কোনো নামিদামি ব্র্যান্ড পরার থেকে সাদাসিধে জীবনযাপন করা অনেক ভালো অনেক, অনেক সম্মানের।

তিনি বলেন, আমরা চাই সৎভাবে জীবনযাপন করা। সৎপথে থেকে যে কামাই করে চলবে সে সম্মানের সঙ্গে চলবে। সৎভাবে কামাই করে যে চলবে সে সমাজে সম্মান পাবে। দুর্নীতির টাকা লুটপাটের টাকা অবৈধ টাকা দিয়ে যতই সে বিলাসিতা করুক মানুষ মুখে হয়তো খুব বাহবা দেবে কিন্তু পেছনে গিয়েএকটা গালি দেবে। ওই বেটা দুর্নীতিবাজ চোর। সেই গালিটা হয়তো শোনা যাবে না কিন্তু বুঝতে পারবে। এভাবে তাকে গালিটা খেতে হয়।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা সারাজীবন সাদাসিধা জীবনযাপন করেছেন। আমরা তার আদর্শের সৈনিক। আমাদের সেভাবেই চলতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে সবসময় এদেশের শ্রমিক কৃষক ও মেহনতী মানুষের কথা বলতেন। তাদের ভাগ্য আমরা কতটুকু বদল করতে পারি, কতটুকু করে দিতে পারি, এ দেশের মানুষের ভাগ্য আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেই চিন্তা করছি।

এর আগে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেই প্রধান অতিথি জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোন করেন। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আশরাফ উদাস ও শাহনাজ বাবু গান পরিবেশন করেন। সাইফুল ও তার দল নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন উত্তরের দপ্তর সম্পাদক এম সাইফুল ও দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যের মধ্যে উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সাদেক খান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বক্তব্য রাখেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002824068069458