নাটোরের সিংড়া মহিষমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বই দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জরুরি তলব করেছেন।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) সকালে সারাদেশের ন্যায় এই স্কুলেও বিনামূল্যে বই বিতরণ করার কথা ছিলো কিন্তু ঘটনা বাস্তবে উল্টো। স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫০ জন শিক্ষার্থীদের বই নিতে প্রত্যেককে গুনতে হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এমনকি টাকা দিতে না পারায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে বই দেয়া হয়নি।
স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বিথির পিতা ভ্যানচালক বাবলু জানান, আমি একজন ভ্যানচালক, দিন এনে দিন খাই। টাকা দিতে পারিনি বলে আমার মেয়েকে বই দেয়নি। পরে টাকা ধার করে বই এনেছি। একই শ্রেণির সুমাইয়া খাতুনের বাবা সেকেন্দার জানান, শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে বই দেয়, আমরা গরীব বলে কি আমাদের ছেলে-মেয়ে বই পাবে না?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ: আলিম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, সেশন ফি হিসেবে টাকা নেয়া হয়েছে, রশিদ দেয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন পরে দেয়া হবে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন মোল্লা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তবে এটা সেশন ফি হিসেবে গণ্য হবে। বই না পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ফিরে গেল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বই দেয়ার দিন কোনো সেশন ফি নেয়া যাবে না, এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ডাকা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।