টাঙ্গাইলের সদ্য সরকারিকৃত তিনটি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ তিন কলেজ হলো টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ, সরকারি ধনবাড়ী কলেজ এবং সরকারি গোপালপুর কলেজ। এ তিনটি কলেজে ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জমা পড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের সাথে এ কলেজ তিনটি সরকারি করা হয়।
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ফি নির্ধারণ করে দেয় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি বাবদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ৪৫০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দিতে হবে ১ হাজার ৮৯০ টাকা আদয় করতে বলা হয়েছিল কলেজগুলোকে। কিন্তু বোর্ডের নিয়ম মানছে না কলেজগুলো।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের থেকে ৪ হাজার টাকা অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের থেকে নেয়া হচ্ছে ৪২০০ টাকা। অপরদিকে ব্যাবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে ৩৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে, যা বোর্ড নির্ধারিত ফরম পূরণের ফির চেয়ে দেড় হাজার টাকা বেশি। অতিরিক্ত টাকাসহ ফরম পূরণের টাকা পৃথক রশিদে গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ অভিভাবকদের।
অপরদিকে ধনবাড়ী কলেজেও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের থেকে ৩৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অপরদিকে ব্যাবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে ৩০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ টাকা আদায় করা হচ্ছে পৃথক রশিদে।
এছাড়া গোপালপুর সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের থেকে ৩৬০০ টাকা এবং ব্যাবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে ৩০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধুপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে না। কোচিং ফি বাবদ ১০০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ফি নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করে অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।