রোববার (২৯ মার্চ) সংসদ টিভিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রচারে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তবে, শুরুতেই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিছুটা বিরক্তির কারণ হয়েছে অনেকেরই। এটুআইয়ের ফেসবুক পেইজে মাধ্যমিকের ক্লাস লাইভ সম্প্রচার করা হলে এসব বিষয় উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন অনেকেই। দৈনিক শিক্ষার ফেসবুক পেজে মন্তব্য করেছেন তরা।
রোববার সকালে সংসদ টিভি ও এটু এর ফেসবুক পেজে ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস সম্প্রচার শুরু হয়। ৯টায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রচারিত হয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস। এরপর ৯টা ২৫ মিনিটে বিজ্ঞান ক্লাস সম্প্রচারের কথা থাকলেও হয়েছে আইসিটি ক্লাস। তবে, ৯টা ৫০ মিনিটে নির্ধারিত ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় ক্লাস সম্প্রচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিভিতে এই পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। দীর্ঘ ছুটিতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার মধ্যে রাখার সরকারি এউ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, প্রথম দিনের ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যেসব আপত্তি জানিয়েছেন সেগুলো ইতোমধ্যে সরকারের নজরে এসেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য।
টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ীর কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তান্ডব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ীর কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ীর কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রাবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একই সাথে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাসের রুটিন প্রকাশ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।