শুধু রাজধানী নয় সারাদেশের শিক্ষকরাই মাধ্যমিকের ক্লাসের রেকর্ডিংয়ে অংশ নিতে পারবেন। মানে দেশের যেকোনও স্থান থেকেই শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ বিষয়ের ক্লাস ভিডিও করে তার সরকারের কাছে পাঠাতে পারবেন। এ বিষয়ে দুএকদিনের মধ্যে ঘোষণা আসবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে শুধু রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তালিকা চেয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছিল শিক্ষকরা নিজেদের শ্রেণি কার্যক্রম রেকর্ড করে অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠাবেন। এডিটিং প্যানেল তা এডিট করে সংসদ টিভিতে প্রচার করবে। কিন্তু শুধু রাজধানীর শিক্ষকদের কাছ থেকে ভিডিও আহ্বান করার পরপরই ঢাকার বাইরের শিক্ষকরা যোগাযোগ করেন দৈনিক শিক্ষার সাথে। তারাও এ সুযোগ চান। শিক্ষকদের এই দাবি নিয়ে দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে কথা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে। তার দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেন যে, দুএকদিনের মধ্যেই নতুন আদেশ আসবে। সেখানে সারাদেশের শিক্ষকদের এই সুযোগ দেয়া হবে।
গত ২৭ মার্চ ক্লাস রেকর্ডিংয়ে আগ্রহী অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে শুধু রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের চিঠি পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। তবে একুশ শতকে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কেন সারাদেশে শিক্ষকরা এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না-তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম।
সংসদ টেলিভিশনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সীমিত আকারে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাদান আজ ২৯ মার্চ রোববার শুরু হয়। রেকডিংয়ে শব্দ দূষণসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
ইতোমধ্যে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। রাজধানীর কয়েকটি নামকরা স্কুলে শিক্ষকরা খুশিতে ক্লাস রেকডিং করেছেন। জাতির এ ক্রান্তিকালে তারা কোনো সম্মানীও দাবি করেননি।
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বারবার বলেছেন, ‘বাইরে ঘোরাঘুরির জন্য ছুটি দেয়া হয়নি, বাড়িতে থাকার জন্য এবং অবশ্যই বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।’
জানা গেছে, যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা ক্লাস সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সাতটি করে প্রতিসপ্তাহে ৩৫টি ক্লাস প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসেই টেলিভিশনে নিজ নিজ বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দেয়া শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।