ঝিনাইদহে টোকেন স্লিপের মাধ্যমে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মৌখিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ আগস্ট) এ অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠানটির কামিল ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোমবার সকাল থেকে কামিল ১ম ও ২য় বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরু থেকেই মাদরাসার একটি কক্ষে অফিসের কর্মচারী জাফর ও শিক্ষক মোমিন প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা নিয়ে টোকেন দিচ্ছেন। যা পরীক্ষা কক্ষের গেটে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীকে দেখিয়ে ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে। টাকা না দিলে তাদের টোকেন দেয়া হচ্ছে না বলেন অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী তার সাদা টোকেন দেখিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,আমি বাড়ি থেকে ২০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম পরীক্ষা দিতে। এখানে এসে শুনেছি পরীক্ষা দিতে হলে ৪০০ টাকা দিতে হবে। আমি টাকা দিইনি বলে আমাকে সাদা টোকেন দেয়া হয়েছে।
২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমরা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, ‘এটা নাস্তা খরচ নেয়া হচ্ছে’।
আরও এক ছাত্র অভিযোগ করেন, কামিল ১ম ও ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী রয়েছে ২২৩ জন। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নাস্তা বাবদ ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এতে প্রায় ৯০ হাজার টাকা নাস্তা বাবদ আমাদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে।
সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে টাকা ও পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করে দেয় শিক্ষকরা। পরীক্ষা কক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ করলেও টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দস। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি জাফর ও মোমিনকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা কোনো টাকা গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, কেউ মিথ্যা অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেছে।
এদিকে, সাংবাদিকদের ভিডিও ক্যামেরার সামনে শিক্ষার্থীরা টাকা গ্রহণের অভিযোগ করেন। তারা এ সময় টাকা দেয়ার টোকেনও প্রদর্শন করেন।