ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ঘেরাও

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি |

সরকারিকরণে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন শিক্ষকদের কাছে তথ্য ও কাগজ চেয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার সরকারিকৃত নতুন ২০৭টি বিদ্যালয়ের ৮ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘণ্টাব্যাপী ঘেরাও করে রাখেন।

ঠাকুরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির

জানা যায়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ঠাকুরগাঁও  সদর উপজেলার ২০৭টি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়। ঐসময় প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদানসহ অন্যান্য তথ্যাদি দাখিল করা হলেও ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১৫ জানুয়ারি এক নোটিশে সরকারিকরণে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদান ও শিক্ষার সনদপত্র চায়। যথারীতি শিক্ষকরা তা দাখিল করেন।

এদিকে গত ২১ জানুয়ারি ২য় দফা নোটিশে সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রথম রেজুলেশন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কপি, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত রেজুলেশন, সর্বশেষ এমপিও কপি, উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন কপিসহ ১১ প্রকারের তথ্য ও কাগজ চেয়ে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়। এতে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করে বর্ণিত কাগজপত্র দাখিলের কারণ জানতে চায়। জবাবে দুদকের অনুসন্ধানের স্বার্থে তা চাওয়ার কথা জানালে শিক্ষকরা তা দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

শিক্ষক নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরে সরকার সারা দেশের ন্যায় সদর উপজেলার ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। শিক্ষকদের হালনাগাদ তথ্য যাচাই বাছাই শেষে তাদের গেজেট প্রকাশ করা হয় এবং তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। কাজেই সরকারিকরণের ৭ বছর পর কোনো ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা পুরাতন কাগজপত্র দাখিলে বাধ্য নই। এতে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি, সেই সাথে বর্ণিত তথ্য দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করেছি।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা শিক্ষকদের জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর কার্যালয়ের এক পত্রের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের কাছে বর্ণিত কাগজপত্র আবারো চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি শিক্ষকদের হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান সিদ্দিক খান, সদস্য আব্দুল মান্নানসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055618286132812