জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলেও বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদের কোনো বিধানই যোগ করা হয়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেলে একই আদলে গঠনতন্ত্র তৈরির চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারী সবার নির্বাচন হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন হয় না।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু অনেক বছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে কোনো সংসদ ছিল না। আর নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া তা অনেক বিস্তৃত। এ কারণে আমরা দেখতে চাচ্ছি ডাকসু নির্বাচনটা কেমন হয়, কী ধরনের সমস্যা হয় সবকিছু বুঝেশুনে আমরাও ডাকসুর আদলেই একটা ছাত্র সংসদ নীতিমালা আয়োজন করব। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেলে আমরাও একই আদলে গঠনতন্ত্র তৈরি করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে এটি পাস করে এটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠাব।
এদিকে,মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন- জকসুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হল ও টিএসসি আন্দোলনের নেতা রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মিফতাহ আল ইহসান, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা কামরুল ইসলাম ইমরান, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী খবির উদ্দীন লাঞ্চু, অর্থনীতি বিভাগের শালিন সৌরভ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (জকসু) আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র সংসদের বিধান পাস করে তা একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর দাবি জানান বক্তারা।