ডাকাতের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক ইজহারুল ইসলাম (৬৫), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫৭), ছেলে হারুন-অর-রশিদ গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাত দুইটার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতদের বনপাড়া পাটোয়ারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকাও লুটে নিয়েছে ডাকাতেরা। গত বিশ বছরে বড়াইগ্রামে এটা প্রথম ডাকাতি বলেও জানা গেছে।
শিক্ষকপুত্র বনপাড়া পৌরসভার হিসাবরক্ষক মামুনুর রশিদ দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, রাত ২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল বাবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে হামলা চালিয়ে বাবা-মায়ের মাথা ও শরীরে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তারা বাবার নিকট থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে বাড়ির সকলের স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা লুটে নেয়। পরে তারা ছোটভাই হারুন-অর-রশিদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকেও মাথায় আঘাত এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
তিনি বলেন, তারা আমার ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরমধ্যে আমি মোবাইল ফোনে চাচাসহ প্রতিবেশীদের খবর দিলে তারা চিৎকার করতে করতে এগিয়ে এলে ডাকাতদল পিছু হটে। গ্রামবাসী তাদের পথ রোধ করতে চাইলে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরেই বনপাড়া হাইওয়ে থানার টহল পুলিশ আসে, তাদের গাড়িতে করেই বাবা, মা ও ভাইকে বনপাড়া পাটোয়ারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে ওসি দিলিপ কুমারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা রাতেই আমাদের বাড়িতে এসে ডাকাতের হামলার ধরন এবং ভাঙ্গা দরজা ও তছনছ করা মালামাল পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুন-অর-রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পাটোয়ারী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রিন্স বলেন, তিন জনের মাথাতেই কোপের আঘাত আছে। শরীরেও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। মাথার আঘাতটা বেশ গুরুতর।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বড়াইগ্রামে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা গত ২০ বছরের মধ্যে এটাই প্রথম। বাড়ি মালিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি একটু সুস্থ হলেই মামলা দায়ের করবেন। তবে পুলিশ এ বিষয়ে অভিযান শুরু করেছে। আশা করি দ্রুত এর রহস্য উন্মোচন হবে।