রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ এবারও পাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতারা। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে এ কাজ ভাগ করে নেবেন সংগঠনটির নেতারা। ফলে এ খাতে এবারও ব্যয় করা হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা। যার মধ্যে অধিকাংশ টাকা লুটপাট হবে বলে মনে করছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা। ছাত্রলীগকে খুশি রাখতে কয়েক বছর ধরে কোটেশনের মাধ্যমে এ কাজটি দেওয়া হয়। নতুন বছরের জন্য এবার এক হাজার ৩০০ ডায়েরি এবং পাঁচ হাজার ক্যালেন্ডার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলেন, ‘কয়েক বছর আমি ডায়েরি তৈরি করে দিয়েছি। আর ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল অন্যরা। তবে এবার অন্যরা নেবে বলে শুনেছি।’
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শিক্ষা বোর্ড যে মানের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার সরবরাহ করে তাতে সর্বোচ্চ ব্যয় হওয়ার কথা দুই থেকে তিন লাখ টাকা। কিন্তু এ খাতে ব্যয় দেখানো হয় ১০ লাখ টাকা। বাকি টাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। এর সঙ্গে রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রুবেল, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম হোসেনও জড়িত রয়েছেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ভাণ্ডার কর্মকর্তা দুরুল হুদা বলেন, ‘দুটি প্রেসের নামে বার্ষিক ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি তৈরির কাজটি পান ছাত্রলীগ নেতারা। তবে কোটেশনের মাধ্যমেই কাজটি দেওয়া হয়। কোনো অনিয়মের সুযোগ নাই।’
এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, ‘নিয়ম মতোই এবারও কাজটি দেওয়া হবে। এখানে কাজটি কে পাবে সেটি বড় বিষয় নয়। কাজটি কেউ না কেউ তো করবে।’