ডিগ্রি পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোতে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। প্রজ্ঞাপনের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বর্তমানে ডিগ্রি স্তরের কলেজের অধ্যক্ষ হতে গেলে কোনো প্রার্থীর স্নাতকোত্তর ও কলেজ পর্যায়ে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতায় শিক্ষাজীবনে তৃতীয় শ্রেণি থাকলে কী হবে, বর্তমানে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। নতুন শর্ত অনুযায়ী সমগ্র শিক্ষাজীবনে একটি মাত্র তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে। তবে তা কেবল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অনার্স বা মাস্টার্স পর্যায়ে কোনো তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সূত্র জানায়, অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে, আগে শুধু কলেজ পর্যায়ে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের অধ্যক্ষ হওয়া যেত। নতুন শর্তাবলিতে এর সঙ্গে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজে পাঠদানের অভিজ্ঞতা। অধ্যক্ষ নিয়োগের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের অধ্যক্ষ পদে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অথবা ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে কমপক্ষে তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ডিগ্রি স্তরের কলেজে পাঠদানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে কমপক্ষে তিন বছরের। সে সঙ্গে সর্বমোট ১৫ বছর কলেজ পর্যায়ে (প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে) চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের নতুন যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ২৯ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ। বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্যানবেইসের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দু'জন পরিচালক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে যোগ্যতার শর্তাবলি চূড়ান্ত করা হয়।