সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ সংবাদপত্র ও বাক-স্বাধীনতার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ ধারাগুলো সংশোধনের অঙ্গীকার চায় সম্পাদক পরিষদ। এ লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকেই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে নিউজ টুডের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্পাদক পরিষদের বৈঠক থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে এই আইনটি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে এখন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবহার হওয়ার সমূহ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। একইভাবে মাঠপর্যায়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন ও অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের কাজের পরিধি ও স্বাধীনতা চরমভাবে খর্ব হয়েছে।
সম্পাদক পরিষদ হতাশা প্রকাশ করে আরও জানায়, আইনে সংযুক্ত আপত্তিকর ধারাগুলো মুক্ত সংবাদমাধ্যমের পরিপন্থী, বাক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে বিরোধাত্মক বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের তিনজন মন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি ‘আলোচনার আরও সুযোগ আছে’ বলেও শেষ পর্যন্ত তারা রক্ষা না করার বিষয়টিও গভীর উদ্বেগের।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন- নিউজ টুডের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজের সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, করতোয়ার সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, দ্য ইনডিপেনডেন্টের সম্পাদক এম শামসুর রহমান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান প্রমুখ।