উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সারা দেশের মধ্যে প্রথম গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল এসব কনটেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ নিয়ে শিখছে শিশুরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈরে ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি স্কুলেই ছয় মাস ধরে বিজয় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান চলছে। সব স্কুল রংধনুর সাত রঙে সজ্জিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি বরাদ্দের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, মাল্টিমিডিয়া মিটিং কক্ষ সজ্জিতকরণ, সততা স্টোর, শতভাগ মিড ডে মিল বাস্তবায়ন, পথনির্দেশনা বোর্ডসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। সব স্কুলে কাব স্কাউটও চালু রয়েছে।
কালিয়াকৈরের ইউএনও কাজী হাফিজুল আমিন বলেন, এখন বই না হলেও ক্লাস করা যাবে। শিশুদের প্রাইমারি স্কুলমুখী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক সেটও নির্মাণ করা হচ্ছে।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯-এ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ উপজেলার শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কয়েকজন শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলামকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, তরিকুল ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর, জাহাঙ্গীর আলমকে শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, লতিফপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী তাহের আলী শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচিত হয়েছেন।