ডিপিএড শিক্ষকদের বেতন জটিলতার সমাধান শিগগিরই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেছেন, অন্যান্য সমস্যার মতো ডিপিএড প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষকদের বেতনের সমস্যাটিও শিগগিরই সমাধান হবে।  মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (বিদ্যালয়) এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ শিক্ষকদের অন্যান্য সমস্যার মতো এটাও দ্রুতই সমাধান করা হবে। 

সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিলে উল্টোফল, বেতন কমে যাবে ইত্যাদি কথা বলা হচ্ছে কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি অফিসিয়ালি আসেনি। শিক্ষকদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বেতন ফিক্সেশন তিনিই করবেন। তিনি কোনো কারণে সেটি না পারলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানাবেন। তিনিও না পারলে আমাদের কাছে নির্দেশনা চাইবেন। 

এদিকে প্রশিক্ষণ নিলে বেতন কমে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে জামাতপন্থী কয়েকজন কয়েকজন শিক্ষক। সমিতি থেকে বহিষ্কার করলেও তাদের মধ্যে কেউ কেই নিজেকে সংগঠনের সভাপতি দাবি করে নিজের নাম কিছুটা বদল করে সংবাদপত্রে বিবৃতি পাঠাচ্ছে। তারা  ডিপিএডকে (ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন) নানা নেতিবাচক অভিধা দিচ্ছেন।  মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার খবর শুনে তারা ফেসবুকে ও বিভিন্ন পত্রিকায় এ বিষয়টি নিয়ে আরো সরব হয়েছেন। সমস্যাটির সমাধান হলেই ক্রেডিট নেয়ার ধান্দাই এসব জনবিচ্ছিন্ন শিক্ষক নেতার ধান্দা। 

সাধারণ শিক্ষকরা জানান, নোয়াখালী, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি এলাকার জামাতপন্থী কয়েকজন সহকারী শিক্ষক কতিপয় কম প্রচার সংখ্যার প্রিন্ট পত্রিকা, ভূইফোঁড় অনলাইন পত্রিকা ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে  সাধারণ শিক্ষকদের উসকানি দিচ্ছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী সাধারণ শিক্ষকরা বলেন, নোয়াখালী সদরের একটি স্কুলের একজন সহকারি শিক্ষককে প্রতারণাসহ নানা অপরাধে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করলেও তিনি নিজেকে সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানি ও অপপ্রচারমূলক বিবৃতি দিচ্ছেন।  গত দুই বছরে তিনি অপপ্রচার ও উসকানিমূলক যত বিবৃতি দিয়েছেন এবং যত পেপারে তা প্রকাশ হয়েছে তা সংগ্রহ করেছেন সাধারণ শিক্ষকরা। সমিতি থেকে বহিস্কারের কাগজপত্র প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে। বিতর্কিত এই শিক্ষক নিজের নাম আংশিক বদলে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন। 

সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারলিপ্ত থাকা সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে নোয়াখালী সদরের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেছেন, মোবাইল ফোনে অনেক শিক্ষক অভিযোগ করলেও লিখিতভাবে কেউ কিছু জানাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক কর্মরত। তাদের ৬০ শতাংশই নারী। 

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় প্রশিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। আমরা চাই, ডিপিএড/ সিইনএড প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে উচ্চ ধাপে উচ্চতম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হোক।ডিডি


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা - dainik shiksha রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ - dainik shiksha ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ - dainik shiksha উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ - dainik shiksha আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028579235076904