ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী পদে মনোনয়ন নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। রোববার (১৯ আগস্ট) ১১টায় রঘুনাথপুর বাজারে এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, শনিবার(১৮ আগস্ট) সকালে রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত পরিচালনা পরিষদের প্রথম সভা ছিল। ওই সভায় বিদ্যুৎসাহী পদে সদস্য মনোনয়ন দেয়ার জন্য আন্দুলিয়া গ্রামের এ এম ফিরোজ আহম্মেদ বাবুল ও এ এম মুজাহিদুর রহমানের বিষয় আলোচনায় আসে। তখন তাদেরকে বাদ দিতে কৌশলে আমেরিকা প্রবাসী ড. শামছুল করিম বাকারকে বিদ্যুৎসাহী পদে আনেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। রোববার ১১ টায় রঘুনাথপুর বাজারে পরিকল্পিত ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এলাকাবাসি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাবেক মেম্বার কৃষ্ণপদ দেওয়ান, ইউপি সদস্য অসীম কুমার সাহা, ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম শেখ, এ এম মফিজুর রহমান, এ এম জিয়াউর রহমান টিটু, উত্তম কুমার হালদার, নারায়ণ চন্দ্র দেওয়ান প্রমুখ।
মিছিলকারিদের মধ্যে মফিজুর রহমান বলেন, এ এম মুজাহিদুর রহমানকে ৫ জন অভিভাবক সদস্যের মধ্যে ৩ জন সমর্থন দেন। তখন তাকে বাদ দেয়ার জন্য কৌশলে আমেরিকা প্রবাসি ড. শামছুল করিম বাকারকে বিদ্যুৎসাহী আনেন।
এ এম ফিরোজ আহম্মেদ বাবুল বলেন, বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা বিদ্যুৎসাহী পদে আমাকে সমর্থন দেন। তখন কৌশলে আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখানে আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট দানবীর ড. এসকে বাকারকে এনে তাকে পরিকল্পিতভাবে অপমান করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহিন হোসেন হাওয়ালাদার বলেন, কমিটির বিদ্যুৎসাহী পদে এক ব্যক্তিকে নেয়ার জন্য রাজনৈতিক চাপ আসছিল। বিতর্ক কাটানোর জন্য কৌশল নিয়ে ড. এসকে বাকারকে এখানে মনোনিত করা হয়েছে। এখানে ড. এসকে বাকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন ডা. হরিদাস মণ্ডল। তবে, ড. এসকে বাকার এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রঘুনাথপুর ওয়েল ফেয়ার ক্লিনিকের পরিচালক ডা. হরিদাস মণ্ডল বলেন, পরিচালনা পরিষদে সরকারি একটা বিধান আছে। এখানে প্রতিনিধিত্ব করার কোন প্রশ্নই আসেনা।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম শরিফুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহম্মেদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন; বিষয়টি আমি এইমাত্র জানলাম। এখন দেখছি।