ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (১৫ আগস্ট) বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনায় জুম অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশিষ্ট জনদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি পালিত হয়।
শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লার সঞ্চালনায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. শাহাবুদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ‘মুজিব মানেই বাংলাদেশ’ নামক শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. দেলোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান, আত্মত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের মাধ্যমে কীভাবে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ব্যক্ত করেন।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপী খুনিরা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং হত্যার বিচার বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ক বহন করতে বাধ্য হয়। পরবর্তী সময়ে জননেত্রী ও দেশরতত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মনে-প্রাণে প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান হয়ে থাকবে।
আলোচনা শেষে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কবিতা আবৃতি করা হয়।
আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন গোলাম সারওয়ার সরকার, মীর হোসেন ভূইয়া, আব্দুল্লাহ আল মকীদ কবির, মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সরকার, মাহমুদা বেগম, মাহরুফা তাজনীন, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, কুলছুমা খাতুন প্রমুখ।