নীলফামারীর ডোমারের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ শহীদস্মৃত্তি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বৃত্তিতে ফল বিপর্যয় হয়েছে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও পিছিয়ে পড়েছে স্কুলটি। চলতি বছরের সমাপনী পরীক্ষায় ১২৯ জন অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১১ জন, যা গতবার ছিল ৫৭ জন।
গতবছর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল ৬ জন। এবছর যা মাত্র ১ জন।
ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে উপজেলা প্রাথমিক অফিসকে দোষারোপ করেছেন প্রধান শিক্ষক গোলাম সারোয়ার বাবু। তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলের সমাপনী ব্যাচটি ছিল উপজেলার মধ্যে সেরা। কিন্তু এবারের সমাপনী পরীক্ষায় ১৭টি কেন্দ্রে সমান পর্যবেক্ষণ না থাকা, পরীক্ষক নির্বাচনে উপজেলা প্রাথমিক অফিসের ক্রুটি। প্রাথমিক অফিস জানে কোন শিক্ষক ভালো তাদের না দিয়ে খারাপদের পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া এবং সর্বোপরি অর্থের বিনিময়ে বৃত্তি লাভ করা যায় যেটা আমার বিদ্যালয় করে থাকে না। সেই কারণে আমার বিদ্যালয়ে এবার ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন বলেন, ‘সব শিক্ষকই যোগ্য। যোগ্য শিক্ষকদের পরীক্ষক করা হয়েছে। সব কেন্দ্রেকে সমান চোখে দেখা হয়।’ তাছাড়া টাকা দিয়ে কখনো বৃত্তি লাভ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।