প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী শহীদদের। শহীদ মিনারের পাদদেশে ফুল দিয়ে অর্পণ করা হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি। কিন্তু নীলফামারীর ডোমারে সেই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে পারছে না ১২টি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহীদ মিনার। ফলে ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অথচ ডোমারের প্রায় দেড়শতাধিক প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার। শহীদ মিনার না থাকায় ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘ডোমারে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে ২২টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও ১২টি মাদরাসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই।’
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাকিবুল হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৪০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে।’
সাংবাদিক রওশন রশিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য আর গৌরবের ইতিহাস জানতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ে তোলা উচিত।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পৌঁছে দিতে সেই সব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা অতি জরুরি। ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে সেই সব শহীদদের জাতি স্মরণ করে থাকে শ্রদ্ধার সাথে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ হাতে ফুল, খালি পা আর মুখে শহীদের গান গাইতে গাইতে শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকেন তাদের।’