সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কার্যক্রম চালানোয় ঢাকার ১০টি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেগুলোতে তালা লাগানোর পাশাপাশি আটজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোচিং সেন্টারগুলো হল- ফার্মগেটের ম্যাবস ও মবিডিক কোচিং সেন্টার, ধানমন্ডির উদয় কোচিং সেন্টার, মোহাম্মদপুরের ম্যাক, লুমিনাস ও পাসওয়ার্ড কোচিং সেন্টার এবং জিগাতলার নব দিগন্ত একাডেমিক কোচিং, জয়যাত্রা, অনন্য ড্রিমস অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ও ব্রেইজ কোচিং সেন্টার।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, রোববার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি জানান, সবগুলো কোচিং সেন্টার ‘সিলগালা’ করে দেওয়ার পাশপাশি নব দিগন্তকে এক হাজার, জয়যাত্রাকে পাঁচ হাজার, অনন্যকে ৯১ হাজার, ব্রেইজকে তিন হাজার, ম্যাককে চার হাজার, লুমিনাসকে পাঁচ হাজার এবং পাসওয়ার্ডের মালিককে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মবিডিকের চারজনকে এক মাসের ও একজনকে ১৫ দিনের এবং ম্যাবসের তিনজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এসএসসি পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।
এই নির্দেশ অমান্যের জন্য এর আগে বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এসএসসির গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে টাঙ্গাইলের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালকসহ ২ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ দৈনিক শিক্ষাকে জানান, এসএসসির গণিত পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিট আগেই ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে শ্যামল কোচিং সেন্টারের পরিচালক শ্যামল সাহা এবং সাগরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রহমানকে নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নসহ আটক করে পুলিশ। প্রশ্নফাঁসের সাথে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব হুমায়ুন খালিদের যোগসাজশ চিহ্নিত করে পুলিশ। হুমায়ুন খালিদ শ্যামল কোচিং সেন্টারের অন্যতম পরিচালক। তিনি তারই স্কুলের দপ্তরি আবদুর রহমানকে দিয়ে কোচিং সেন্টারের মালিক শ্যামল সাহার কাছে প্রশ্নপত্র পাঠান। পুলিশ দপ্তরি ও শ্যামল সাহাকে আটক করে।
দিলরুবা আহমেদ জানান, প্রশ্নফাঁসের সাথে কেন্দ্র সচিবের যোগসাজশ চিহ্নিত হলে ম্যাজিস্ট্রেট এম আল মামুনের নেতৃত্বে শ্যামল ও হুমায়ুন খালিদকে ১ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় পিওন আবদুর রহমানকে।