ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। রোববার (১৬ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭-এর বিচারক কামরুন্নাহার পরবর্তী শুনানির জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ মজনুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনার আড়াই মাস পর তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্নিষ্ট শাখায় ২২৯ পাতার এই চার্জশিট জমা দেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলেন। ওই সময়ে এক ব্যক্তি তাকে পেছন থেকে গলা ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। তার গলা চেপে ধরে অদূরে ঝোপের মধ্যে নিয়ে মেয়েটির ওপর পাশবিকতা চালানো হয়। ওই ঘটনায় র্যাব সদস্যরা মজনু নামে এক ভবঘুরে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ওই সময়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিষ্ট (ক্রমিক ধর্ষক)। সে পথশিশু থেকে শুরু করে ফুটপাত, বস্তি ও রেলস্টেশন কেন্দ্রিক ভবঘুরে নারীদের ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটিও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ওই ঘটনায় দায়ের মামলটি ডিবি-উত্তর বিভাগ তদন্ত করে। একমাত্র আসামি মজনু আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা জানায়। তদন্ত সংস্থাও জানায়, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।
মামলাটির তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ডিবি-উত্তর বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এডিসি জুনায়েদ আলম বলেন, আদালতে জমা দেয়া চার্জশিটে ১৬ জন সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আসামি মজনু যে দুইজনের কাছে ঘটনার শিকার ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি বিক্রি করেছিল তারাও রয়েছেন। এ ছাড়া ২০ ধরনের আলামতও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, দীর্ঘ সময় নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তারা মামলাটি তদন্ত করেছেন। আশা করছেন, আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।