ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাসে ওঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, চৈতালী বাসে শিক্ষার্থীদের উঠতে বাধা দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় জুনিয়র শিক্ষার্থীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এক সিনিয়র শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. জামিত। তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন। আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, চৈতালী বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিল। বাসটি শ্যামলী বাস স্টপেজে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসে ওঠার জন্য ইশারা দেন। তবে বাসে থাকা আমিনুল বাসটি থামাতে দেননি। পরে জামিত এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং আমিনুলের কাছে বাসটি কেন থামাতে দেননি তা জানতে চান।
এতে আমিনুল ক্ষুব্ধ হন এবং জামিতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এক পর্যায়ে জামিত নিজেকে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলে আমিনুল তার পরিচয়পত্র দেখতে চান। তখন জামিতও পাল্টা আমিনুলের পরিচয়পত্র দেখতে চান। এসব নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে জামিতকে চলন্ত বাস থেকেই নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন আমিনুল।
পরে জামিত বাস থেকে না নেমে দ্বিতীয় তলায় চলে যান। আমিনুল সেখানে গিয়েও তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করন। বাসটি ক্যাম্পাসের স্মৃতি চিরন্তনে চত্বরে পৌঁছালে বাস থেকে নামার সময় জামিতকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন আমিনুল।
জামিত বলেন, তিনি শুধু আমিনুলকে বলেছিলেন, বাসটি থামালে কয়েকজন শিক্ষার্থী উঠতে পারতো। এরজন্য তাকে সবার সামনে মারা হলো। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় একজন জুনিয়র তাকে মারধর করবে, এটি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। প্রয়োজনে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দুপক্ষকে ডেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।