ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে তাঁর গাড়ি আটকে দেয়া হয়।
এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। ‘প্রসাশন করে কী, খায়-দায় ঘুমায় নাকি’, ‘নির্লজ্জ প্রশাসন, ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘ঢাবির সম্মান, নষ্ট হতে দেবো না’, ‘সাত কলেজ বাতিল চাই’, ‘রক্তে ঢাবির সম্মান, সাত কলেজ বেমানান’ ইত্যাতি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসহ কয়েকটি ভবনে তালা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এই মুহূর্তে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রো-উপাচার্য। চার দফা দাবি থেকে সাত কলেজ বাতিলের এক দফায় আজ আন্দোলন হচ্ছে। ১১টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন শুরু হবে। রেজিস্ট্রার ভবন থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করবে তারা।
এর আগে সকাল ৮টায় কলা ভবনের সামনে সরজমিনে গিয়ে দেয়া যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসলেও ৩ জন ছাত্রী ও ৩ জন ছাত্র মূল ভবনে তালা লাগিয়ে হাতে ফেস্টুন নিয়ে বসে আছে। এ সময় ক্লাস করাতে আসা শিক্ষকরা ৭ কলেজ সমস্যার সমাধান আস্তে আস্তে হবে আশ্বাস দিয়ে তালা খুলে দিতে আহ্বান জানালেও তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেননি।
আন্দোলনকারীরা জানান, অধিভুক্তি বাতিলের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তালা খুলবে না। আন্দোলনকারীদের দাবি, অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের ঢাবির শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়, ফলে তাদের পরিচয় সংকটে পড়তে হচ্ছে। এ আন্দোলনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বেশি অংশ নিতে দেখা গেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের ফলে সকালে ক্লাস করতে এসে ফিরে গেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৮টায় কর্মচারীরা তালা খুলতে এসেও আন্দোলনকারীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে আন্দোলন কর্মী আসিফ বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার বিল্ডিং, কলাভবন, এফবিএস ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে তালা ঝুলিয়েছি। প্রশাসন দাবি মেনে না নিলে তালা খুলব না।