শিক্ষাছুটি ছাড়া বিদেশে অবস্থান করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অন্য কর্মচারীর মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায়। অনিয়মিত অফিস করায় চাকরি থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়েছে আরেক কর্মচারীকে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় বুধবার রাতে এসব সিদ্ধান্ত হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাঁচ শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষাছুটি ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন। এ ছাড়া দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সদস্য ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান প্রকৌশলী দফতরের পিয়ন কাম গার্ড অজিত চন্দ্র ভৌমিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষিতার পরিবারকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া পরিবহন দফতরের উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন অফিসে অনিয়মিত ছিলেন।
ক্লাসে ফেরার আকুতি ঢাবি শিক্ষকের : এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী ক্লাসে ফিরতে আন্দোলন শুরু করেছেন। ‘আমি শিক্ষক, আমাকে ক্লাসে ফিরে যেতে দিন’- এমন লেখা সংবলিত একটি প্লাকার্ড নিয়ে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। ক্লাসে না ফেরা পর্যন্ত তিনি এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আজকের দিনের কর্মসূচি শুরু। ক্লাসে ফেরা না পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে।’
সহকর্মীদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণের’ অভিযোগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় হাইকোর্টে একটি রিট করেন রুশাদ ফরিদী। গত ২৫ আগস্ট আদালত বাধ্যতামূলকভাবে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে তাকে বিভাগে যোগদানে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের এমন নির্দেশনার পর প্রায় তিন মাস পর মঙ্গলবার রাতে ক্লাসে ফেরার আকুতি জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন রুশাদ ফরিদী। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে ক্লাসে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না।