ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটে ৬৬১তম স্থান অর্জন করেও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া ছাত্র আজিজুলের পাশে দাঁড়ালেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদ হাসান। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁর কার্যালয়ে আজিজুলের হাতে ভর্তির জন্য বিশ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। এছাড়া আগামী আজিজুলের এক বছরের পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নেন ইউএনও মো. নাহিদ হাসান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অস্বচ্ছল খন্দকার আজিজুল হক সুখিয়া ইউনিয়নের হরশী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সে হরশী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখায় জিপিএ ৫ এবং এ বছর পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখায় জিপিএ ৪ দশমিক ৮৩ অর্জন করে। অন্যের জমিতে কাজ করে চলে তার বাবা ফিরোজ মিয়ার সংসার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদ হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রবল ইচ্ছা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঢাবিতে চান্স পেয়েও আর্থিক সমস্যার কারণে আজিজুলের ভর্তি অনিশ্চিতের বিষয়টি জানতে পেরে পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করি।
পরে আজিজুলকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসি। দরিদ্রতার কারণে কারো স্বপ্ন যাতে থেমে না যায় তা নিশ্চিত করতে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন সব সময় পাশে থাকবে।