ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রিডিং রুমে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন হলের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার এ এফ রহমান হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী গ্রুপের ‘সিনিয়ররা’ রিডিং রুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলের ক্যান্টিনেও যেন না খান সে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা (প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা) যেন রিডিং রুমে না যান সে ব্যাপারে শাসিয়েছেন। গেলে তাদের গেস্টরুমে নিয়ে মারধর করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।
তবে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর দাবি, তাদের পক্ষ থেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো নির্দেশনা জারি হয়নি। ‘সিনিয়ররা’ যা নির্দেশনা দেন, তা-ই তারা বাস্তবায়ন করেন মাত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাইয়েরা আমাদের রিডিং রুমে যেতে নিষেধ করেছেন। হলের রিডিং রুমে আমরা পড়তে না পারলে পড়ব কোথায়? তাছাড়া, হলের গেস্টরুমে দ্বিতীয় বর্ষের ভাইয়েরা অনেক চাপ দেন। অনেক ভয়-ভীতি দেখান। রাতের বেলা আমাদের সবাইকে হল থেকে বের করে দেন এবং রাত ১টা-২টার আগে হলে আসতে দেন না। এতে আমাদের সকালের ক্লাস মিস হয়।’
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছাত্রলীগ কাউকে রিডিং রুমে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেয় না। সব বর্ষের সব শিক্ষার্থী রিডিং রুমে যাবে। এফ রহমান হলও এর ব্যতিক্রম নয়। এফ রহমান হলে এমন ঘটনা ঘটেছে কি-না, আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমার কাছে সুনির্দিষ্ট তালিকা দিয়ে অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেব। রিডিং রুমে সবাই পড়বে। ছাত্রলীগ মানা করার কে? আমি তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেব।’