ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের আগে ছাত্রীদের দুই বন্ধুকে পিটিয়ে আহত করা হয়। গত রবিবার রাতে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নে বনের ভেতর সাতকুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার নির্যাতিত এক স্কুলছাত্রীর বাবা অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছেন।
তারা ঘাটাইলের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলছাত্রীদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ গতকাল সোমবার বিকালে ইউসুফ ও বাবু নামে দুই যুবককে আটক করেছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সকালে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় চার স্কুলছাত্রী। কিন্তু তারা স্কুলে না গিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে তাদের দুই বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার সাতকুয়া গ্রামে ঘাটাইল সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জে বেড়াতে যায়।
বেলা ২টার দিকে ঐ এলাকার পাঁচ-ছয় জন অপরিচিত দুষ্কৃতকারী যুবক তাদের আটক করে। এ সময় যুবকরা দুই বন্ধু হূদয় ও শাহীন এবং অটোচালক আশিককে মারধর করে আহত করে তাড়িয়ে দেয়। স্কুলছাত্রীদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
মুক্তিপণ না পেয়ে তিন স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ছাত্রীদের মধ্যে একজনকে পরিচিত মনে হওয়ায় তারা তাকে ছেড়ে দেয়। নির্যাতনের পর এক স্কুলছাত্রীর নানির বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেয় চার স্কুলছাত্রী। বিষয়টি ঘাটাইল থানা পুলিশকে রবিবার রাতেই জানানো হয়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।