তুরস্কের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আরো বেশি বৃত্তির সুযোগ পাবে।
আঙ্কারায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আল্লামা সিদ্দিকী বুধবার তুরস্কের জাতীয় শিক্ষামন্ত্রী ইসমেত ঈলমাজ’র সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে মন্ত্রী তুরস্কের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়াবে। এছাড়া তিনি তুরস্কের আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে ঢাকায় একটি ‘শিক্ষা মেলা’ আয়োজনের কথা বলেন।
বৈঠকে দু’দেশের শিক্ষাখাতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা জানা যায়।
ঈলমাজ বাংলাদেশকে এশিয়ার উদীয়মান একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যকার ঊষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্মরণ করে বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন।
উচ্চশিক্ষাসহ সকলখাতে দু’দেশের এ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে পারস্পরিক সমঝোতা প্রোটোকলের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও তুরস্কের উচ্চশিক্ষা কাউন্সিলের (এইচইসি) মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
এরআগে রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক সম্প্রসারণ সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে তুরস্কের মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সূত্র: বাসস।