তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: পা ধরে ক্ষমা চাইলেন প্রধান শিক্ষক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি |

এবার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির পর প্রধান শিক্ষক অভিভাবকের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাঙ্কুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি প্রকাশ হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে।

অভিযোগ উঠেছে, তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একা অফিস রুমে ডেকে যৌন হয়রানি করেন কাঙ্কুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা। পারিবারসূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ওই ছাত্রী তার এক বোনকে বিষয়টি জানায়। পরে ওই বোন শিশুর পিতাকে জানালে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন।

এর পর মুহুর্তের মধ্যে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষ। এদিকে ওই প্রধান শিক্ষকের পক্ষে একটি চক্র তাকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নামে মিডিয়াসহ এলাকার প্রভাবশালীদের মুখ বন্ধ করতে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পা ধরে মাফ চায় ওই প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. এনামুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রধান শিক্ষককে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলে তিনি (প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ) পা ধরে ক্ষমা চায়। এমনকি ছাত্রীর পিতার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা

ওই ছাত্রীর বাবা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তারা (শিক্ষকরা) আমাদের  সন্তানের পিতার মতো। তার মেয়ে দুই দিন স্কুলে যায়নি। একারণে তার মেয়েকে একা রুমে ডেকে যৌন হয়রানি করে।


এ ব্যাপারে  প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির কথা অস্বীকার করে বলেন, এটি  তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর পা ধরে মাপ চাওয়ার কথাও অস্বীকার করেন তিনি। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল বাশার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি বর্তমানে পটুয়াখালী থাকায় মঙ্গলবার (আজ) সরেজমিনে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলবেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002748966217041