ত্রিমুখী সিন্ডিকেটের কবলে পাঠ্যবই

রাকিব উদ্দিন |

এ বছরের শেষ দিকে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। এজন্য নির্ধারিত সময়ের আড়াই মাস আগে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু আগাম পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে গিয়ে ত্রিমুখী সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই মুদ্রণকারীরা এর প্রাক্কলিত মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে দরপত্র বর্জন করছেন। প্রকাশকরাও ‘রয়্যাল্টি’ ফাঁকি দিতে একাদশ শ্রেণীর বই ছাপার টেন্ডার বর্জন করেছেন। আর কাগজ মিল মালিকরা টনপ্রতি দাম বৃদ্ধি করেছেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণকারী একটি চক্র, মুদ্রাকর ও দেশীয় সিন্ডিকেট মিলে এ কাজটি করেছে বলে এনসিটিবি’র কর্মকর্তাদের ধারণা।

এ অবস্থায় আগামী ১ জুলাই একাদশ শ্রেণীর ক্লাশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের প্রকাশনা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেছে মুদ্রণ শিল্প মালিক ও প্রকাশ এবং এনসিটিবি’র কর্মকর্তারা।এনসিটিবি’র পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীর বই ছাপার ব্যাপারে জটিলতা নিরসনে গত ২১ মে প্রকাশকদের সঙ্গে সমঝোতার বৈঠক আহ্বান করা হলেও শীর্ষস্থানীয় প্রকাশকরা তাতে সায় দেয়নি। এতে বই ছাপাতে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপতেও পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে।

২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার প্রায় ৩৭ কোটি বই ছাপাবে।

এনসিটিবি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করেও অর্থ ছাড় পেতে মরিয়া এক শ্রেণীর মুদ্রণকারী। তাদের সঙ্গে একজোট হয়ে একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের ‘রয়াল্টি’ ফাঁকি দিতে চান পুস্তক প্রকাশকরা। তারা সঙ্গবদ্ধভাবে এনসিটিবি’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা এনসিটিবিকে জিম্মি করে সরকারের কাছ থেকে অন্যায্য আর্থিক সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছেন। এজন্য মুদ্রণ শিল্প মালিক ও পুস্তক প্রকাশকরা জোটবদ্ধভাবে এনসিটিবি’র পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের দরপত্র বর্জন করছেন। দরপত্রে পাঠ্যপুস্তকের ব্যয় বৃদ্ধির দাবি করছেন। এজন্য লাগাতার আন্দোলনের হুমকিও দিচ্ছেন।

যদিও মুদ্রণকারীরা বলছেন, এনসিটিবি খোলা বাজার থেকে প্রতিটন কাগজ কিনছে এক লাখ টাকায়। কিন্তু কাগজসহ বই ছাপাতে (প্রাথমিক) সংস্থাটি দরপত্রে প্রতি টন কাগজের মূল্য ধরেছে ৮১ হাজার টাকা। এছাড়া মুদ্রণকারীদের এক বছর আগের বিলও আটকে রেখেছেন। ফলে বই ছেপে মুদ্রণকারীদের অনেকেই লোকসান গুণতে হচ্ছে। 

এজন্য তারা এনসিটিবি’র কাজে অংশ নিচ্ছেন না।প্রকাশকরা বলছেন, তারা এনসিটিবিকে বইয়ের মূল্যের ১২ শতাংশ ‘রয়্যাল্টি’ আগাম দিয়ে একাদশ শ্রেণীর বই ছেপে খোলা বাজারে বিক্রি করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই বাজার সয়লাব হয়ে পড়ে নকল বইয়ে। কিন্তু এনসিটিবি নকলবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। এতে প্রকাশকদের লোকসান গুণতে হয়। এজন্য তারা এবার একাদশ শ্রেণীর বইয়ের দরপত্র বর্জন করছেন।

এ ব্যাপারে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা  বলেন, ‘তারা নিজেদের স্বার্থে একজোট হয়েছেন। আরও বেশি লাভ চান। কাগজের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত তুলে বইয়ের মূল্য বৃদ্ধির দাবি করছেন। টেন্ডারে অংশ না নিয়ে আমাদের জিম্মি করার চেষ্টা করছেন। তবে আমাদের নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

এ বছরের শেষ দিকে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। এজন্য নির্ধারিত সময়ের অন্তত আড়াই মাস আগে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বই স্কুল ও উপজেলায় পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বই ছাপার একটি দরপত্রের প্রক্রিয়াও শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কাগজ উৎপাদনকারী মিল মালিকদের সিন্ডিকেট। তারা প্রকাশক ও মুদ্রণকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে কাগজের দাম টনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান  বলেন, ‘প্রতি বছরই পাঠ্যবই ছাপার সময় কাগজের দাম বাড়ে। 

আরও বাড়বে। কারণ গত বছর এই সময়ে এক ডলারের দাম ছিল ৭৮ টাকা, বর্তমানে ৮৬ টাকা। আমরা এই বর্ধিত মূল্যের শিকার। বিশ্বব্যাপী কাগজ তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের কাগজের বাজারে। কিন্তু এনসিটিবি এই বাস্তবতা ও বাজার যাচাই না করে টেন্ডারে কাগজের মূল্য নির্ধারণ করেছে গত বছরের মতোই। এটাই আসলে জটিলতার সূত্রপাত। এখানে সিন্ডিকেটের কিছুই নেই।’তিনি আরও জানান, ‘এনসিটিবি ৬০ গ্রামেজের কাগজ কিনেছে প্রতিটন ৯৭ হাজার টাকা দিয়ে। আর প্রাথমিক স্তরের বই ছাপাতে দরপত্রে ৮০ গ্রামেজ (ভালোমানের) কাগজের প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারণ করেছে ৮১ হাজার টাকা। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা এনসিটিবি’র চরম হটকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের ধ্বংস করতে চায়। নির্বাচনের আগে তারা সরকারকেও ডুবাতে চায়।’

সিন্ডিকেটের কবলে একাদশ শ্রেণীর বই

গত ৬ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালাও প্রকাশ করেছে সরকার। এসএসসি উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির পর ক্লাশ শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। এ হিসেবে সময় রয়েছে মাত্র এক মাস সাতদিন।

কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ শ্রেণী) স্তরের তিনটি বই মুদ্রণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বইগুলো হলো- বাংলা, বাংলা সহজ পাঠ ও ইংরেজি। এ তিনটি বই ছাপার দরপত্রের (টেন্ডার) শিডিউল বিক্রি হয় ৯৩টি। কিন্তু গত ৩ মে টেন্ডার বাক্স খোলার পর দেখা যায়, প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ লাখ কপি বই ছাপার জন্য কোন মুদ্রণ ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শিডিউল জমা দেয়নি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সময়মতো বই পাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিকের তিনটি বই- বাংলা, বাংলা সহজ পাঠ ও ইংরেজি শিক্ষার্থীদের মূল্য পরিশোধে কিনতে হয়। এনসিটিবি বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করে। এবার বাংলা বইয়ের দাম ধরা হয়েছে ১২১ টাকা, বাংলা সহজ পাঠের দাম ৫৯ টাকা ও ইংরেজি বইয়ের দাম ধরা হয়েছে ৮১ টাকা।মুদ্রণকারীরা দাবি করছেন, বাংলা বইয়ে এ বছর নতুন দুটি গল্প যুক্ত করা হচ্ছে। টেন্ডার প্রাক্কলনে বাংলা ও বাংলা সহজ পাঠের দাম বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু ইংরেজি বইয়ের দাম গত বছরের দামেই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে কাগজ ও মুদ্রণ সামগ্রীর দামও চড়া। এতে খরচ বাড়ছে। এছাড়া এত বিপুল পরিমাণ বইয়ের বাজার চাহিদাও নেই। বই বিক্রি না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে মুদ্রণকারী ও প্রকাশকদের।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল  বলেন, ‘কাগজসহ সকল মুদ্রণ উপকরণ ও শ্রমিকের মজুরি এক বছরে ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এনসিটিবি নামেমাত্র হারে বইয়ের দাম বৃদ্ধি করেছে। এনসিটিবি’র নির্ধারিত মূল্যে বই বিক্রি করলে আমাদের পথে বসতে হবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকের নকল বই বাজারে বিক্রি হয়। কিন্তু বাজারে এনসিটিবির কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। গত বছর আমাদের প্রায় দেড় লাখ কপি বই বিক্রি হয়নি। এজন্য আমরা এবার টেন্ডারে অংশ নেয়নি। নকলবাজ প্রকাশকরা শিডিউল কিনেছে।’

এনসিটিবিকে বইয়ের মূল্যে ১২ শতাংশ রয়্যাল্টি (রাজস্ব) অগ্রীম পরিশোধ করে একাদশ শ্রেণীর বই ছাপার অনুমতি নিতে হয় জানিয়ে শ্যামল পাল বলেন, ‘এ খাতে সংস্থাটি প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি টাকা রয়্যাল্টি পায়। কিন্তু তাদের কী কোন দায় নেই?’

এ ব্যাপারে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘মূলত রয়্যাল্টি ফাঁকি দেয়ার জন্যই তারা জোটবদ্ধভাবে টেন্ডার বর্জন করেছে। তারা বেশি লাভ চায়। কিন্তু আমরা তো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত টাকা আদায়ের সুযোগ দিতে পারি না।’

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ের কাগজের মান নিয়ে বিতর্ক

২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য গত ১ জানুয়ারি সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের দুই কোটি ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী হাতে দশ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৪টি বই বিতরণ করা হয়। বই ছাপাতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলেও বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠান কাজ পায়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের বইয়ের ব্যয় পরিশোধ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এনসিটিবি’র দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, বই ছাপার কাগজ ও কালির মান চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগ পর্যন্ত ঠিকাদারদের (মুদ্রণকারী) মোট বিলের ২০ শতাংশ আটকে রাখা হয়। এবারও তা করা হয়েছে। 

ইতোমধ্যে চার মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও মুদ্রাকররা পুরো বিল পাননি।

দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে নিম্নমানের কাগজে বই মুদ্রণ, নির্ধারিত সময়ে বই সরবরাহে বিলম্ব ও সরকারের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে আটটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে নানা অনিয়ম ও প্রতারণা করেছে বলে এনসিটিবি’র তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, ‘ডিপিই এখন পাঠ্যবইয়ের কাগজ ও ছাপার মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এরপর তারা বিল ছাড় করবে। 

কারণ অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান ৮০ গ্রামেজ কাগজের পরিবর্তে ৭০ গ্রামেজেরও কম মানের কাগজে বই ছেপেছে। কিন্তু বছরের শেষ সময়ে আমরা ওইসব বিষয় ভালোভাবে দেখার সুযোগ পায় না। এই বিল ছাড় না হওয়ার কারণেই মুদ্রণকারীরা অন্যদিক দিয়ে আমাদের জিম্মি করার চেষ্টা করছে।’

এ বিষয়ে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল বলেন, ‘বছরের চারমাস চলে যাওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন? কাগজের ওপর কালি, ছাপা, বাঁধাই পড়লে স্বাভাবিক কারণেই ওই মান থাকবে না। তাছাড়া আমরা যখন বই সরবরাহ করি তখন তো এনসিটিবি’র লোকজন কাগজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই আমাদের ছাড়পত্র দেয়।’

এনসিটিবি সূত্র জানায়, গত ৫ মার্চ ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের প্রায় ১১ কোটি বইয়ের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ১২ এপ্রিল দরপত্র খোলা হয়। এনসিটিবি ওই দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে। তারা একাধিক দফায় বৈঠকে করেও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এরপর পুনঃদরপত্র আহ্বানে মতামত চেয়ে গত ৩ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিইতে) চিঠি পাঠায় এনসিটিবি। ওইসব বই মুদ্রণের জন্য এখন পুনঃদরপত্র আহ্বানের তৎপরতা চলছে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে বিনামূল্যের পাঠবই মুদ্রণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।

সূত্র: সংবাদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030148029327393