বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দেয়া দাখিল পরীক্ষার সনদে এক পরীক্ষার্থীর বয়স কমেছে ১৬ বছর ১ মাস ২৪ দিন। অপর একজনের বয়স কমেছে ১১ বছর। বাংলাদেশ রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল অতিরিক্ত সচিব জ্যোতিময় বর্মন। চিঠিতে বিধিমালা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে।
জানা গেছে, জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুয়ায়ী ফারুক হোসেন ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ খ্রিস্টা্ব্দের ২০ আগস্ট তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া দাখিলের সনদে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি। এর ফলে ফারুক হোসেনের বয়স কমেছে ১৬ বছর ১ মাস ২৪দিন।
অপরদিকে জন্ম নিবন্ধন সনদে মো: রাজু আহমেদের জন্ম তারিখ উল্লিখিত আছে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ আগস্ট। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া দাখিলের সনদে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারি। এর ফলে ফারুক হোসেনের বয়স কমেছে ১১ বছর।
রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিষয়টি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে জানালে বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মাদরাসা প্রধানদের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জেডিসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রশন শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধনের সনদের ফটেকপি সংরক্ষণপূর্বক জন্মসনদে উল্লিখিত তারিখ অনুযায়ী করার অনুরোধ করা হয়। এর ব্যত্যয় হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া জন্ম তারিখ সংশোধনের কোন আবেদন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গ্রহণ করবে না বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।