টানা ১৬ দিনের মতো দ্বিতীয় শিফটের পারিশ্রমিক কমানোর প্রতিবাদে ও বেতন জটিলতা নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইন্সটিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে তারা মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানায়, তাদের ২০ মাসের ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া তাদের আন্দোলন থেকে ফিরে আসতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যস্থানে বদলির হুমকি দিচ্ছেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, দ্বিতীয় শিফটের জন্য সরকার আলাদাভাবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিক। যদি ক্লাস নিতেই হয় তাহলে শতভাগ সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
এছাড়া শিক্ষকদের বলা হচ্ছে, ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস করতে হবে। এবিষয়ে শিক্ষকরা জানায়, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিফটের ক্লাস সকাল ৮টা থেকে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত চলে। এছাড়া দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস শুরু হয়ে চলে দেড়টা থেকে ৬ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া শনিবার ছুটি থাকে না।
শিক্ষকরা বলছেন, ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস হলে শিক্ষার্থীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এই নিয়মে চললে সপ্তাহে শুক্র-শনিবার ছুটি পাবেন তারা। এছাড়া ক্লাসের সময়ও কমে যাবে। কারণ যে ক্লাস শুরু হতো সকাল ৮টায়, সেটি শুরু হবে সকাল ৯টায়। আর দুপুরে এক ঘন্টা টিফিন পাওয়া যাবে। যেখানে ৬ টা ৪৫ মিনিটে ক্লাস শেষ হতো সেখানে ৫টায় শেষ হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ও প্রতিদিন ৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট লোকসান হবে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি এমএসএম হুমায়ুন কবির হুরাইরা বিন লতিফ।
বক্তব্য দেন, রাজশাহী পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ওয়াহেদুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন, শিক্ষক আজমউল্লাহসহ অন্যরা। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষক কর্মচারীর অংশ নেন।
এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটটির প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা ও আবাসিক হোস্টেল খুলে দেয়ার দাবি জানায়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি, পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও অধিদফতরাধীন কর্মচারি সমিতির ব্যানারে দেশের ৪৯টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মবিরতি পালন করছে।