দিরাই সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মৌসুমি দাসের (১৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৌসুমি দাসের পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। তবে এ নিয়ে প্রতিবেশী এবং স্বজনরা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। মৌসুমি উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের টুকদিরাই গ্রামের রনদা প্রসাদ দাসের মেয়ে।
জানা যায়, রনদা প্রসাদ দাসের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আন্দাবাজ গ্রামে। তিনি দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরালয় টুকদিরাই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। শুক্রবার মৌসুমির মা শাল্লা উপজেলার শাশখাই গ্রামে তার বড়ো মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।
বাড়িতে মৌসুমি ও তার বাবা ছিলেন। পাশের ঘরে থাকেন দুই মামা অম্লান দাস ও অমিত দাস। মা বাড়িতে না থাকায় মামাদের ঘরেই খাওয়া-দাওয়া করত বাবা-মেয়ে।
মৌসুমির বাবা রনদা প্রসাদ দাস জানান, সোমবার সকালে মেয়েকে বাড়িতে রেখে ডিম বিক্রির জন্য দিরাই বাজারে যাই। ১১টায় বাড়িতে ফিরে দেখি আমার শ্যালক অমিতসহ অনেকেই মৌসুমিকে পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
এসময় অমিত জানায়, মৌসুমি অসুস্থ হয়েছে ভেবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সক মৌসুমিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিবেশী মিতালী দাস জানান, চিত্কার শুনে গিয়ে দেখি মৌসুমিকে পানি দেওয়া হচ্ছে। লোকজন বলছিল সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল জানান, পরিবারের লোকজন লাশ হাসপাতালে নিয়ে আমাদেরকে খবর দেয়। তারা বলছেন, মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।