এক যুগ প্রতীক্ষার পর খুলনা নার্সিং কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী জুনে। এ জন্য গত ৬ মে থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং ও বিএসসি পাবলিক হেলথ নার্সিং কোর্সে মোট ১২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
খুলনা নার্সিং কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে এই কলেজটির যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা গত ৬ মে থেকে অনলাইনে আবেদন জমা দিচ্ছেন, যা চলবে ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। আগামী ১৪ জুন ঢাকায় এক সঙ্গে দেশের সব নার্সিং কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অনলাইনেই ফল প্রকাশ হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ খালেদা বেগম জানান, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যক্ষ জানান, ১৪ জন শিক্ষকসহ মোট ২৮ জন জনবল আগেই নিযুক্ত হয়েছে। কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রশাসনিক ভবন ও হোস্টেল ভবন সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ১০ একর জমির ওপর নার্সিং কলেজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একটি একাডেমিক ভবন, দুটি হোস্টেল ভবন, একটি গেস্ট হাউস, অধ্যক্ষের বাসভবন ও তিনটি স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করে।
কিন্তু ২ বছরের মাথায় তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে তখন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী বিভিন্ন পর্যায়ে বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে কিছু সংস্কার কাজ এখন চলমান রয়েছে।
কলেজের হিসাবরক্ষক নীতিশ চন্দ্র রায় জানান, কলেজটি চালুর জন্য সম্প্রতি প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও সরঞ্জামাদি কলেজে পৌঁছে গেছে।