দীর্ঘ দিনেও চাকরি স্থায়ী হয়নি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৬২ কর্মচারীর। বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বোর্ডে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ করেন তারা।
মানববন্ধনে থাকা পিয়ন মো. সোহরাব একথাগুলো বলেন, ২৪ বছর আগে এক স্যার আমাকে ডেকে বোর্ডে পিয়ন পদে চাকরি দিয়েছিলো। বলেছিলো কাজ করো একদিন স্থায়ী হবে। বছরের পর বছর চলে গেলে আজও হলো না। এই মাথায় কত বই পুস্তুক বয়েছি, এই বিল্ডিং থেকে ও বিল্ডিয়ে। তবুও স্যারেরে মায়া হয় না। আর কবে হবে চাকরি পার্মানেন্ট (স্থায়ী)।
বোর্ডের কম্পিউটার অপরেটর আল মামুন জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে হাইকোর্টে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মামলা করেন তিনি। এসময় যশোর-চট্টগ্রাম বোর্ডের কর্মচারীরও মামলা করেন। রাজশাহীর মামলা নম্বর ৩৭৩৮। মামলা চলাকালে একই বছরের ডিসেম্বরের দিকে রায়ে কর্মচারীদের পক্ষে আসে। এতে করে রাজশাহী ছাড়া বাকি দুই বোর্ডের (যশোর-চট্টগ্রাম) ডেইলি কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী হয়। অন্যদিকে এই রায় প্রত্যাক্ষান করে ৯০ দিনের মাথায় ফের হাইকোর্টে আপিল করে শিক্ষাবোর্ড। তবুও রায় আসে কর্মচারীদের পক্ষে।
আল মামুন জানান, তৃতীয় ও চতুর্র্থ মিলে ৬২জন অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছে। বছরের পর বছর চলে গেলেও পার্মানেন্ট হচ্ছে না চাকরি তাদের। তাই গত আট বছরেও তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি।
মানববন্ধন থেকে কর্মচারীরা জানায়, তাদের মধ্যে অনেকে ২০ থেকে ২২ বছর ধরে এই দফতটির বিভিন্ন যায়গায় কাজ করে আসছেন। তাদের ডেইলি শ্রমিক হিসেবে বেতন দেওয়া হয়। বছরের পর বছর পার ধরে আশ্বাসে চলছে এই কর্মচারীরা। তারা শেষ বয়সে এখন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি তুলেছে।
শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক প্রামাণিক বলেন, স্থায়ী করণের দাবি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানানো হবে। তিনি আসলে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করবেন।