ভোলার চরফ্যাশনে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক উন্নয়নকাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিওর ক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে অভিভাবকদের মোবাইলের পরিবর্তে নিজের স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনাকে ভুল ও ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে সংশোধনের আশ্বাস দেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। আর তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষা অফিস।
চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার প্রথম কিস্তি শিউর ক্যাশের মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিতরণ করে সরকার। চরফ্যাশন পূর্ব উত্তর চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তথ্য সঠিক থাকলেও প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া ৩০ জন সুবিধাভোগীর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে নিজের আত্মীয়স্বজনের নম্বরের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার পর তদন্ত শুরু করে উপজেলা শিক্ষা অফিস। একইভাবে পূর্ব চর নুরুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ৩৮ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
আর ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি না হলেও ভুলবশত মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে ভোলা চরফ্যাসন পূর্ব উত্তর চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন। আর প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে এমন অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেছেন ভোলা চরফ্যাসন পূর্ব চর নুরুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তদন্তসাপেক্ষে মোবাইল নম্বরগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন ভোলা চরফ্যাসন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী।
দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ২৭৩ জন ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে ৬৮ জনের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।