রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত চার বছর ধরে উন্নয়নকাজের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন তাঁরা। দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারের নামে কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। নিম্ন দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের স্বজনদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। ফলে প্রকৃত ঠিকাদাররা দিনের পর দিন বঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই দপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। তবে অভিযোগে কারো নাম দেওয়া হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ কার্যাদেশ দিতে যাওয়া প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাজের টেন্ডারেও ইচ্ছামতো ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ঈদের আগে কমিশন নিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ কাজ শেষ করেও অনেক ঠিকাদার এখনো বিল পায়নি।
রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরে গত চার বছরে টেন্ডার ছাড়াও কোটেশনের মাধ্যমে কাজের নাম করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য হয়েছে। পছন্দের লোকজনকে কাজ দিয়ে এভাবে অনিয়ম করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত চার বছরে অন্তত ২০০ কোটি টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
ওই দুই কর্মকর্তা প্রতিটি টেন্ডারে ৫-১০ পার্সেন্ট কমিশন আদায় করেন। তাঁদের চাহিদামতো কমিশন দিতে রাজি না হলে ঠিকাদারদের কাজ দেন না। ঠিকাদারের নাম ভাঙিয়ে নিজের লোকদের দিয়ে কাজ করান এ দুই কর্মকর্তা। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলেই প্রকৃত ঠিকাদারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান তাঁরা। সব মিলিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল দপ্তরটি এখন অনিয়ম-দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তবে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ফোন রিসিভি করেননি।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। নিয়মমাফিক সব কাজ হচ্ছে। ইচ্ছামতো ঠিকাদার নিয়োগের প্রশ্নই আসে না। কেউ প্রতিহিংসাবশত এ ধরনের অভিযোগ করতে পারে।’