কেন্দ্রের শিক্ষার্থী দু’জন। প্রস্তুত শিক্ষকসহ সাত কর্মকর্তা। পরীক্ষার বিষয় শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধূলা। কিন্তু পরীক্ষার শেষ সময় পর্যন্ত দু’জনের এক পরীক্ষার্থীও উপস্থিত হয়নি কেন্দ্রে। অবশেষে তাদের জন্য অপেক্ষা করে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কেন্দ্র থেকে চলে যান।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাঘার উপজেলার আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, আড়ানী ইউনিয়নের খোর্দ্দবাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আছরিফা খাতুন ও ছনিয়া খাতুন পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফরম পূরণ করে। তাদের ফরম পূরণ অনুযায়ী রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, উত্তরপত্র ও প্রশ্ন সরবরাহ করে কেন্দ্র সচিবের কাছে। কেন্দ্র সচিবসহ সাতজন এ দুই পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশ্ন সংগ্রহ, হলসুপার, কক্ষপরিদর্শক, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ, সহকারী সচিবসহ সাতজন নিয়োগ করা হয়।
খোর্দ্দবাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, আছরিফা খাতুন ও ছনিয়া খাতুন আমাদের স্কুলের ছাত্রী। তারা দুজন গত বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। এবার তারা এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তবে কি কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তা জানা নেই। তবে শুনেছি তাদের বিয়ে হয়ে গেছে।
আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব সঞ্জয় কুমার দাস দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এ দুই পরীক্ষার্থীর জন্য আমরা সাতজন দায়িত্বে ছিলাম। তারা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে আসবে পরীক্ষা শুরু করব। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে আসেনি।
বাঘা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, পরীক্ষার্থী দুজন হলেও অন্য পরীক্ষার মতোই যে যার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় আমি নিজ কর্মস্থলে ফিরে এসেছি।