টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে বিকৃত করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে মঙ্গলবার বিকালে শিশুর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সখীপুর থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অপরদিকে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় পাল্টা থানায় অভিযোগ করেছেন। ৪ অক্টোবর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের বেতুয়া পশ্চিমপাড়া বিশ্ব নবী (সা.) হাফেজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মো. তৈয়ব আলী আকন্দ ওইমাদরাসার প্রধান শিক্ষক (হুজুর)।
অভিভাবক বাবুল হোসেন জানান, তার ১০ বছর বয়সী ছেলে বিজয় হোসেন প্রায় দুই বছর ওই হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। রোববার তার ছেলে মাদরাসায় গেলে মাথা ন্যাড়া না করার অপরাধে প্রধান হুজুর ব্লেড দিয়ে তার মাথার চুল বিকৃত করে কাটেন। ছেলের বন্ধু জাকারিয়ার চুলও একই ভাবে বিকৃত করেন। তাদেরকে শারীরিক নির্যাতনও করেন।
প্রধান শিক্ষক মুফতি তৈয়ব আলী আকন্দ জানান, রুটিন কাজের অংশ হিসেবে দুই ছাত্রের মাথা ন্যাড়া করার প্রস্তুতিকালে নামাজের সময় হওয়ায় তিনি মসজিদে চলে যান। নামাজের পর তাদের আর পাওয়া যায়নি। পরে গ্রামের কিছু লোক দুই ছাত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। আমার ওপর হামলাও চালায়।
সখীপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।