দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে অতিদ্রুত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। রোববার সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনলাইনে ৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে দুই হাজার প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রত্যাশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্তকরণের কার্যক্রম শিগগির শুরু করা হবে।
মোতাহার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যখন এমপিওভুক্তির প্রশ্ন আসবে তখন অনেক ফ্যাক্টর দেখতে হবে। ন্যায্যতার প্রশ্নও জড়িত আছে।
নেত্রকোনা-৩ আসনের অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরিপের মাধ্যমে পরিত্যক্ত ভবন চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজশাহী-৩ আসনের আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম জানান, সমগ্র বাংলাদেশে সুষ্ঠু আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।