রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। গত বুধবার হাত জোড়া লাগানোর অস্ত্রোপচারের শেষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। শিক্ষিকার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শনিবার (১৪ মার্চ) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। ফাহিমা বেগমের স্বজনরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া নামক স্থানে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা সফরের বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে বুধবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা জানান, ‘তার হাত জোড়া লাগানোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে’। এরপর থেকে ৭২ ঘণ্টা আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া নামক স্থানে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা সফরের বাস সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দিলে শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমের (৫০) একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় আহত হয় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী।
একাদশ শ্রেণির ছাত্ররা জানায়, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষাসফর এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়। সকালে ৬টি মিনিবাস ও মাইক্রোতে করে ১২৫ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্কুলের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাকরাইল থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। তাদের বাসে শিক্ষক ফাহিমা ও ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাসটি পাথালিয়া পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষক ফাহিমার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষিকাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়।