নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সরকারি হোসেন আলী কলেজের অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। এতে হতাশ কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, গত বছরের ৮ আগস্ট কলেজের শিক্ষকরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও ইউএনও উম্মে হাবিবা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। উম্মে হাবিবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুন্নেছা আক্তারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
পরে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি উম্মে হাবিবা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সুপারিশ করেন। ফের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গত ১৫ এপ্রিল কলেজের জ্যেষ্ঠ ১৪ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের আদেশে শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৮ জুন নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম এ মতিন মিয়াকে প্রধান করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটিও বীরেশ্বর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কলেজের প্রায় ১৮ লাখ টাকার অনিয়ম পায় বলে নিশ্চিত করে।
এম এ মতিন বলেন, ‘গত ৩ জুলাই আমি সরেজমিনে কলেজে গিয়ে তদন্ত করি। সেখানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।’
কলেজের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীমা শারমিন জানান, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন যা ব্যবস্থা নেয়ার শিক্ষা অধিদপ্তর নেবে।