প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় টাকার চুক্তিতে নকল সরবরাহের অভিযোগে আটক হওয়া পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ অধ্যক্ষ ড. রেজাউল করিম ও প্রভাষক মোঃ আব্দুল হককে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়ায় পাবনার ডিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পুলিশের ভূমিকাকেও রহস্যজনক বলে অভিহিত করেছেন তারা। বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের এই দুই শিক্ষককে শুধু লোক দেখানো ওএসডি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সরকারী কলেজ-২ শাখার এক আদেশ ওএসডি করার খবর জানা গেছে।
তবে, ওএসডির খবর জানা জানি হলে বিভিন্ন মহলের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে। অন্যদিকে শনিবার গভীর রাতে সদর থানা থেকে অধ্যক্ষ ড. রেজাউল করিমকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ নিয়ে শহরজুড়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভসহ বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে তাকে ছাড়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, একজন অধ্যক্ষ তথা শিক্ষক সমাজের মান সম্মানের কথা বিবেচনা করা তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তদন্ত চলবে। তিনি আরও বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, বড় কলেজের অধ্যক্ষকে আটক করায় মনে হয়েছিল না জানি কত প্রতিবাদ হবে।
কিন্তু উল্টোটা দেখলাম। তাকে ছেড়ে দেয়ায় পুলিশকে ধিক্কার দিচ্ছে মানুষ। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষা সচিব ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করতে বলেছিলেন। তাকে আটকের পর সকল মহল খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু একটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ ড. রেজাউল করিম, একই কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুল হকসহ দু জন বেসরকারি কলেজের প্রভাষক পুলিশের হাতে আটক হন।