প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের চরিত্র বদলাতে হবে। অনেকে ঘুষ-দুর্নীতি আর অপকর্মের মাধ্যমে অর্থ কামাচ্ছেন। তারা সাবধান হয়ে যান। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে জড়িত সবাইকে সতর্ক করে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হল শিক্ষার ভীত, আর শিক্ষা হল জাতির মেরুদণ্ড। দেশে প্রেমিক হিসেবে সবাই কাজ করলে আমরা একটি সুন্দর প্রজন্ম উপহার দিতে পারবো। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের চরাঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়নে চর ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকায় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে পড়ে এমন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বাংলা বানান সঠিক করে লিখতে পারে না। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষা বিভাগের সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমার পরিবার। ভাই-বোন হিসেবে অনুরোধ করবো, একটু নড়াচড়া করুন।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। এছাড়াও তিনি বলেন, উপবৃত্তি চালু করায় দেশে বর্তমানে প্রাইমারী স্কুলে উপস্থিতির হার এখন প্রায় ৮৯ শতাংশ যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধিও পেয়েছে এবং ঝরে পড়া রোধ হচ্ছে অনেকাংশে। একদিকে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে যেমন অন্যদিকে উপবৃত্তির টাকা মায়ের হাত দিয়ে তার সন্তানের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির, যুগ্ম সচিব নেছার আহমেদ ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।
কর্মশালায় রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম এই চার জেলার জেলা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও কম্পিউটার অপারেটররা অংশগ্রহণ করেন।